জীবন মানেই সংঘর্ষ। প্রতিটি পদে প্রতিটি ধাপে ধাপে। আপনি সংঘর্ষ করেই জন্ম নিয়েছেন এবং সংঘর্ষ করেই বেঁচে আছেন। আপনার প্রাণ শক্তি সমাপ্ত বা দুর্বল হয়ে পরলেই আপনি সমাপ্ত হয়ে যাবেন। এমন কী জীবনে কোন বিদ্যা অর্জন করতেও সংঘর্ষ করেই করতে হয়। জীবনের সমস্ত উপার্জন যেমন অর্থ, সম্পদ, মান, সম্মান, প্রতিপত্তি এগুলোকে রক্ষা করতেও সংঘর্ষই করতে হয়। পরিবার, সমাজ, ধর্ম, সংষ্কৃতি, প্রকৃতি দেশকেও রক্ষা করতে যুদ্ধ করতে হয়। এত কিছুর বাস্তবতা দেখে মনে হয় সত্যিই জীবন মানেই সংঘর্ষ।
জীবনকে গভীরতার সাথে না দেখে শুধু উপরি উপরি দেখলে প্রতারিত হতে হয়। উপরি উপরি দেখলে সত্যিই তো জীবন সংঘর্ষময়। এ কষ্টের এ দুঃখের। সিন্ধান্ত দাঁড়ায় জীবন দুঃখময় তাই সব কিছু ছেড়ে বৈরাগ্য নেও কিংবা সন্ন্যাস নেও, এই দুঃখময় সংসার থেকে মুক্ত হওয়াই আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু মনে একবার প্রশ্ন করুন তো পরমাত্মা এই যে সমগ্র সৃষ্টি করেছেন মানুষকে সৃষ্টি থেকে পালানোর জন্য। সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী সৃষ্টি থেকে পালানো। এ যেন সৃষ্টির উদ্দেশ্যর সাথে জীবনের লক্ষ্য খাপ খায় না।
দেখুন পরমাত্মা আপনাকে সৃষ্টির মধ্যেই সৃজন করেছেন। অর্থাৎ সৃষ্টির মধ্যেই আপনাকে থাকতে হবে। এই সৃষ্টি থেকে পালানোর কোন পথ আমাদের নেই। হ্যাঁ কল্পনায় আপনি পালাতে পারেন, কিন্তু তা বাস্তব নয় তা পরিশেষে আরও দুঃখ দায়ক।
আসুন জীবনটাকে অন্য ভাবে দেখি। প্রকৃত পক্ষে আমাদেরকে সৃষ্টির মধ্যেই থাকতে হবে। আসলে সৃষ্টির মধ্যে থাকায় আমাদের স্বাভাবিক জীবন জোর করে বাধ্য হয়ে নয়। যেহেতু জীবন থেকে পালানো যায় না, তাই সৃষ্টির থেকে মুক্তি জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, তাতে কষ্ট বাড়বে বই কমবে না। বরং সৃষ্টির মাঝেই কীভাবে আনন্দময় জীবন নির্মান করা যায় সেটিই জীবনের চরম লক্ষ্য হওয়া উচিত।
দেখুন জীবনটা তখনি আনন্দময় হবে যখন জীবনে সংঘর্ষ থাকবে না। প্রকৃত পক্ষে জীবনে সংঘর্ষ বলে কিছু নেই সবই জীবনের স্বাভাবিক কর্ম।

Good
জীবন মানেই শক্তি। শক্তির উপর দারিয়ে থাকে জীবন। শক্তি দিয়েই জীবন সৃষ্টি ও ধংস। জীবন সংঘর্ষ ময়। সংঘর্ষ হয় শক্তির দ্বারা। জীবন যন্ত্রনাদায়ক। যন্ত্রনার মুল শক্তি। জীবন আনন্দদায়ক যা উপলব্ধি করি শক্তির দ্বারা। জীবনের উদ্দেশ্য মুক্তিলাভ। শক্তিকে উপলব্ধি করাই মুক্তি।