ইহজগতই আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্র ,পরজগৎ নয় …

সকল মানুষই এই জগতে সুন্দর, সফল ও আনন্দময় জীবন-যাপন করতে চায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যেমন ভাবে জীবন-যাপন করতে চায় সেই ভাবে জীবন গুছিয়ে চলতে পারে না। ছোট ছোট বিষয়ে অর্থাৎ লোভ-লালসা, কামনা-বাসনা, মোহ-মায়া-মমতা ইত্যাদির দ্বারা আবদ্ধ হয়ে নিজের প্রকৃত অবস্থা ভুলে যায়। আধ্যাত্মিকতার কাজই হলো এই ছোট বিষয় গুলোকে জয় করে সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনের পথ কে প্রসস্ত করা।

কিন্তু আধ্যাত্মিকতাকে যারা পরজগতের পাথেয় করে সমস্যা তাদেরকে নিয়ে। তাদের চিন্তুায় থাকে আমরা যা কিছু ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতায় আছি তা সবই পরজগতের জন্য। ইহজগৎ তাদের কাছে মূল্যহীন। জীবন করে তোলে কঠোর। পর জগতের বিশাল কল্পিত প্রাপ্তির জন্য অযথা জীবনে কঠোরতা আনে। এই কঠোরতাময় কাজের পুরষ্কারই পরজগৎ।

কিন্তু আধ্যাত্মিকতা কখনোই তা বলছে না। না ইহজগৎ না পরজগৎ কোন জগতেরে জন্য কষ্ঠ করো। জীবনকে সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোল। লোভ-লালসায় উপরে যে এক দূর্বিসহ জীবন নির্মাণ করেছো তাকে সংযত করে, স্বাভাবিক হও। মোহে কোথাও আটকে থেকে বারবার নিজেকে কষ্ঠ দিচ্ছ কেন ? উপলব্ধি করো। কিন্তু এই মোহের জন্য যে তোমার কষ্ঠ তা তুমি কখনোই বুঝতে পারছো না। কারন নিরপেক্ষতা ছাড়া মোহকে বোঝা যায় না। নিরপেক্ষ হতে শুধু একটি কাজ করো আর তা হলো জীবন যা সেই সৃষ্টিতে দেখ। অস্বাভাবিক যা তাকে প্রশয় দিও না।

দৈনন্দিন আধ্যাত্মিকতার ক্রিয়া যোগ বা অভ্যাস যোগের দ্বারা মানুষ ধীরে ধীরে নিজের এই দূর্বলতাকে জয় করতে পারে। চাই তার জন্য পুনঃ পুনঃ অধ্যবসায়। জীবনে এক নিয়মনুবর্তিতা। খুব সহজ, খুব সুন্দর, শুধু ধারাবাহিকতা। আধ্যাত্মিকতার ধারাবাহিকতায় জীবন নির্মাণ করতে পারলেই সত্যই এক প্রকৃত জীবন লাভ করা যায়।

হরি ওম ।।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top